বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯


শিলিগুড়ির এডুকেশন ফেয়ারে মাকাউট,
পড়ুয়াদের কোর্স ও জীবিকার দিশা দেখালেন কর্তারা 


শিলিুগুড়ির সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠান 
সম্প্রতি 11 এবং 12 মে শিলিগুড়ির সায়েন্স সিটিতে দুদিনের এডুকেশন সেমিনার ও ফেয়ারে অংশ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি কলেজ ও মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ (মাকাউট). সেখানে পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের বিভিন্ন পেশাগত কোর্স সম্পর্কে সচেতন করা হয়. বিভিন্ন নাচ গান ও বেহালা বাজিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা. ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন  মাকাউটের উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র.


উপাচার্য সৈকত মৈত্র

উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের জানান, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোর্স ও কোর্সের চাহিদারও পরিবর্তন হচ্ছে. ফলে পাল্টে যাচ্ছে চাকরির চাহিদার প্রকৃতিও. তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে বলে পরামর্শ দেন তিনি.



উপাচার্য জানান, ভারতে এবং এ রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসব্জি পাওয়া যায়. সেগুলিকে কী ভাবে বিদেশে রপ্তানি করা যায় তার জন্যও পড়াশোনা প্রযোজন বলে জানান তিনি. এরপরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি.


পড়ুয়ার মুখোমুখি উপাচার্য
মাকাউটের স্টল




বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৯

যুবসম্প্রদায় অনেক বেশি ডিজিটালি স্মার্ট ,সঠিক পরামৰ্শ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে :উপাচার্য সৈকত মৈত্র 






যুব সম্প্রদায় ডিজিটাল যুগে জন্মগ্রহন করেছে। তারা আমাদের থেকে অনেক বেশি ডিজিটালি স্মার্ট। শুধু সঠিক পরামর্শ প্রয়োজন।  তাহলে তারা অনেক কিছু অসাধ্য সাধন করতে পারে। সম্প্রতি আইলিড কলেজে বিভিন্ন স্কুলের কর্তা এবং  শিক্ষক  শিক্ষিকাদের সঙ্গে এক আলোচনায় (স্কুল কানেক্ট) এ ভাবেই যুব সম্প্রদায়ের ওপর আস্থা দেখান মৌলানা  আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র।



এ দিনের স্কুল কানেক্ট অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মৈত্র জানান, প্রযুক্তি যে ভাবে অগ্রসর হচ্ছে তার ফলে প্রতিদিনই নতুন কিছু আবিষ্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যুব সম্প্রদায় এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে সেই সম্মস্ত সম্ভাবনা রয়েছে এবং থাকবেও। শুধু মাত্র সঠিক গাইড এর প্রয়োজন। ওরা নিজে থেকেই সব কিছু করতে পারবে। তিনি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরামর্শ দেন ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত কাজকে উৎসাহ দিতে হবে. সমস্ত কাজকেই সাদরে গ্রহণ করতে হবে. ছোট ছোট কাজের মধ্যেই বড় কোনো সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। এর মধ্যেই সুখবর শোনান তিনি। বাইরের বিভিন্ন রাজ্য যখন একাধিক কোর্স বন্ধ করে দিচ্ছে তখন এ রাজ্যে একের পর এক নতুন কোর্স চালু করছে মাকাউট। এর ফলে প্রমাণিত সত্য যে কোর্সের চাহিদা বাড়ছে। তাই নব প্রজন্মকে শুধুমাত্র পথ বেছে নিতে সাহায্য করতে হবে.

তবে তিনিও জানান যে স্কুল ও কলেজের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে সেটা মেটাতে হবে. আজকের স্কুল পড়ুয়াই আগামী দিনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হবে. তাই তার সম্ভাবনাগুলোকে ছোট বয়সেই বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে. উচ্চ শিক্ষার  ভিত গড়তে হবে আগেই। তাঁর মতে, এই ভারতে এবং এই রাজ্যে সমস্ত উপাদান রয়েছে। শুধু সেগুলিকে প্রকাশ্যে এনে কাজে লাগাতে হবে. নতুন নতুন কাজ তৈরী করতে হবে. না হলে যে ভাবে সময় এগোচ্ছে এবং প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে তাতে কাজের ধরন প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। কাজ হারানোর আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু নতুন উদ্ভাবন হতে থাকলে কোনো দিন কাজের অভাব হবে না. এ ভাবে আগামী দিনগুলিকে আরও সুরক্ষিত করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি। 



প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের কাজের সুযোগ আরো বাড়ছে বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবেই ছাত্রীদের কাজের সুযোগও তৈরী হচ্ছে বলে জানান তিনি। গুগুল থেকেও এই মহিলা কর্মীর বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।     




মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯



নিজের মনের কথা শোনো, পুরোটা জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নাও ,
পড়ুয়াদের পরামর্শ উপাচার্যের 


পড়ুয়াদের মুখোমুখি উপাচার্য 

সফল হতে গেলে নিজের মনের কথা শুনতে হয়. কোনও বিষয়ে পুরোটা
জান এবং তারপরে সিদ্ধান্ত নাও. বিভিন্ন স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির
পড়ুয়াদের এই পরামর্শই দিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট) উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত
মৈত্র. সম্প্রতি পর্তুগীজ চার্চ স্ট্রিট এর একটি কেরিয়ার
কাউন্সেলিং অনুষ্ঠানে পরবর্তী শিক্ষা জীবন ও নিজের জীবনের পথ
বেছে নিতে পরামর্শ দেন তিনি.


 অধ্যাপক মৈত্র জানান, জীবনে সফল হতে গেলে বেশ কয়েকটি
জিনিসকে মেনে চলতে হয়. কোনও কাজের প্রতি ভালবাসা, সফল না
হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, সেই কাজের প্রতি আত্মার
যোগ থাকা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার
জোরেই একজনব মানুষ জীবনে সফল হতে পারে. অর্থ উপার্জন
যেমন প্রয়োজন তেমনই সেই অর্থ কী ভাবে উপার্জন করা হবে
এবং কোন খাতে সেটা খরচ করা হবে এর জন্য সঠিক সিদ্ধান্তের
প্রয়োজন. এর জন্য নিজের আত্মাকে জাগ্রত করতে হয়.





তিনি জানান, ক্রমশ দিন বদলাচ্ছে. বর্তমানে যে জিনিসের চাহিদা
রয়েছে কয়েক বছর পরে তার প্রয়োজন শেষ হতে পারে. তাই সেই
সমস্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়া উচিত যার ফলে
নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা যায়. মাকাউটে কী কী ধরনের
কোর্স করানো হয় তার কথা উল্লেখ করেন তিনি. কী ভাবে নিজের
স্কিল ডেভলেপমেন্ট সম্ভব সেটাও বলেন উপাচার্য.







ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বেসরকারি কলেজের
অধ্যক্ষ এবং কর্তা ব্যক্তিরা. তাঁরাও সকলকে প্রযুক্তির দিক
থেকে নিজেদের আরও উন্নতির পরামর্শ দেন. প্রযুক্তির ওপরে
সকলেরই ক্রমশ নির্ভরতা বাড়ছে. তাই প্রযুক্তিকে আরও বেশি
করে নিজেদের জীবনের সঙ্গে একাত্ম করে কী ভাবে নানা সমস্যার
সমাধান করা যায় সেই দিকে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা.




শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯



সমস্যার সমাধান করেই কাজের সুযোগ তৈরী করতে
 হবে, পড়ুয়াদের বার্তা দিলেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র  


অনুষ্ঠানে উপাচার্যের সঙ্গে অন্যানরা 

সমস্যাকে কী  ভাবে কাজের সুযোগ করে নিতে হয় সেই দিশা দেখালেন পশ্চিমবঙ্গ-এর মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র। শনিবার ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর এমফিল কোর্স চালু করতে এসে এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মৈত্র জানান, দেশে অনেক রকমের সমস্যা রয়েছে। সেগুলিকে কি ভাবে সমাধান করা যায় তার পথ বের করতে হবে. সেটাই হবে কাজ. এ ভাবেই সমস্যাকে কাজের সুযোগ হিসেবে তৈরী করতে হবে. পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ শুধুমাত্র ডিগ্রি নিয়ে পাশ করলেই যথার্থ শিক্ষা হবে না. দশের এবং দেশের কাজে যেন সেই শিক্ষাকে ব্যবহার করা যায় সেই ভাবনা নিয়েই প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হবে. 


   
এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি জানান,  যে কোর্স পড়ুয়ারা করছেন সেখানে তাদের নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে যে তারা শুধুমাত্র পড়ুয়া নন, তারাও সেই কোর্সের অংশ।  কোর্সের বাইরে বেরিয়েও নতুন কিছু সৃষ্টি করার তাগিদ থাকতে হবে. কোনো সার্টিফিকেট থাকলেই হবে না. প্রধান হল আমি নিজে কি শিখেছি।   



তিনি জানান, বর্তমানে যে চাকরিরি সুযোগ রয়েছে আগামী দিনে সেই কি চাহিদা শেষ হতে পারে। তাই নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে. এমন কাজের সৃষ্টি করতে হবে যেখানে কোনো দিন জোগানের চাহিদার শেষ হবে না. চাহিদা জোগানের পার্থক্য ঘুচে গেলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি। 


তিনি পড়ুয়াদের জানান, এখানেই মানে এ দেশেই সমস্ত রকমের জিনিস রয়েছে। শুধুমাত্র সেগুলিকে ব্যবহার করা শিখতে হবে. সাড়ে জন্য চাই পরিবেশ থেকে শিখে নেওয়ার অদম্য ইছা। তাই চারিদিকের সমস্যা যেগুলি রয়েছে সেগুলিকে সমাধান করতে হবে।  সেটাই হবে কাজের সুযোগ তৈরির প্রধান পদক্ষেপ। 

বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯

বিদেশি পড়ুয়াদের রাজ্যে টানতে উদ্যোগী মাকাউট 


বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপাচার্য 

মেধা বাইরের রাজ্যে চলে যাচ্ছে বারবার অভিযোগ ওঠে। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও এই নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা গিয়েছে। এবারে এই ব্যবস্থার কার্যত 'রিভার্স স্যুইং' করাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাকাউট)।
 তাই বাংলা নববর্ষের দিনে সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে প্রায় কুড়িটি ভিন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সে দেশের পড়ুয়াদের এ রাজ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করলেন মাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা পেশাগত কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স তুলে ধরে চাকরির সম্ভাবনা এবং বিশেষ করে পড়ুয়াদের কীভাবে শিল্পদ্যোগী করা যায় আলোচনা হল তা নিয়েও। তবে ভিন দেশের কনস্যুলেটরা জানিয়ে দিলেন পরিকাঠামোর আরও উন্নতি প্রয়োজন।


কোর্স নিয়ে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য 
আলোচনার শুরুতেই অধ্যাপক সৈকত মৈত্র জানান, ভিন দেশের নানা কোর্সকে তুলে এনে অনলাইনে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দিয়ে সেগুলি পড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এআইসিটিই অনুমোদিত নয় এ রকম প্রায় একশোটি কোর্স রয়েছে। যেখান থেকে চাকরির বহু সুবিধা রয়েছে। এ রাজ্যে ১৯৮টি সরকারি ও বেসরকারি কলেজে যথাযথ পরিকাঠামো থাকলেও সেগুলির আরও উন্নতি হচ্ছে বলে জানান উপাচার্য।  
কলকাতার চেহারা যে ভাবে আগের থেকে পরিবর্তন হয়েছে সেভাবেই এখানকার উচ্চ শিক্ষার আদল বদলে দিতে প্রতি নিয়ত পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হয় বলে জানান তিনি। তিনি আশ্বস্ত করেন এ রাজ্যে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করার যাবতীয় কলেজ ও উপযুক্ত পাঠ্যক্রম রয়েছে। যাতে বিদেশ থেকে আসা কোনও পড়ুয়ার অসুবিধা না হয়। সে কারণেই উপাচার্য বলেন, "বাইরে থেকে পড়ুয়া এনে 'রিভার্স স্যুইং করতে হবে। এর জন্য এ রাজ্যে সমস্ত কিছু তৈরি। নতুন কোর্সগুলো একটা 'গ্লোবাল প্লাটফর্ম' তৈরি করবে। বেস্ট সিলেবাস করার জন্য মকলে মিচেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ক্রেডিট ট্রান্সফার , প্রোগ্রাম ছাড়াও নানা রকমের অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।   



তবে এ দিনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স, জার্মানি, নেপাল, চিন সহ বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেটরা।



সাংবাদিকদের সঙ্গে উপাচার্য




বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত খবর  


আনন্দবাজার পত্রিকা






 দি টেলিগ্রাফ 




বর্তমান 


দি স্টেটসম্যান



এই সময় 







মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯



চিকিৎসা ব্যবস্থার ভিত গড়তে হবে ডিজিটাল দিয়েই

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র 

শিক্ষায় ডিজিটালের প্রবেশ ঘটেছে অনেক আগেই. ব্যতিক্রম হয়নি স্বাস্থ্যেও. কিন্তু স্বাস্থ্যে ডিজিটালের প্রবেশ ঘটলেও সমস্ত ক্ষেত্রে সেই সুবিধা এখনও পাওয়া যায়নি বলেই মত অনেকের. তাই এ বার সেই দিকে নজর দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাকাউট).



সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ডিজিটাল হেল্থ নামক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়. সেখানেই উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান, ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীর মত আদান প্রদান, রোগীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিসা ব্যবস্থার আরও উন্নতি ঘটাতে হবে. এমনটাই চাইছেন চিকিসকেরাও.


কিন্তু তার যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রয়োজন. সে কথা মাথায় রেখেই  সার্টিফিকেট ও স্নাতক কোর্স চালু করবে মাকাউট. ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলে্ন শহরের ও ভিন রাজ্যের এমনকী ভিন দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিসক, কলেজের পদাধিকারী ও ছাত্রছাত্রীরা. ভিন দেশ চিকিসকেরা অনলাইনে স্কাইপের মাধ্যমে তাঁদের মতামত জানান. কর্মশালায় উপস্থিত চিকিসকেরা্ও জানান, চিকিসা পদ্ধতির সর্বস্তরে ডিজিটালের খুব বেশি করে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে. সার্বিক উন্নতি ডিজাটালের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়. সে কারণে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধও করেন তাঁরা.





উপাচার্য জানান, ই-হেল্থ, এম-হেল্থ বিদেশে বেশ জনপ্রিয়. আমাদের দেশে এবং রাজ্যেও সেটা ভাল ভাবে চালু করতে হবে. তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও ইচ্ছা এবং তাগিদ. সে কারণে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল. ওই কর্মশালায় উপস্থিত থাকা কয়েকজন চিকিৎসকও উপাচার্যের পক্ষেই সওয়াল করেন. সমাজের সর্বস্তরে এই বিষয়ে সচেতন করতে পারলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে মত তাঁদের.  সমাজের সর্বস্তরে এই বিষয়ে সচেতন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আরও বেশি করে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ.


এরপর প্রায় দুপুর তিনটে পর্যন্ত বিভিন্ন চিকিৎসকেরা এই বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির জন্য সকলেই উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাসও দেন. এই খবর প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পত্রিকা, একদিন এবং দ্য স্টেট্সম্যানেও.

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯


উদ্ভাবন হোক সমাজের জন্য,
আইপিআর কর্মশালায় বার্তা উপাচার্যের
মঞ্চে উপাচার্য ড. সৈকত মৈত্র ও কলেজের এক প্রতিনিধি
সেই উদ্ভাবনই সফল হবে যার মাধ্যমে উপকৃত হবে  সামাজের সাধারণ মানুষ. সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ছাত্রছাত্রীদের এগনোর বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈকত মৈত্র. সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে মাকাউটের একতা ইনকিউবেশন সেন্টারের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত--ওয়ার্কশপ অন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইট নামক শীর্ষক কর্মশালায় ছাত্রছাত্রীদের সমাজের জন্য নানা রকমের উদ্ভাবনী ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়নের কাজে উদ্যোগী হতে পারমর্শ দেন. উদাহরণ স্বরূপ তিনি কলকাতার একটি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনের কথা বলেন. যেখানে যন্ত্রচালিত ঢেঁকি তৈরি করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা. যেটা এ রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে চালু করা হয়. কম সময়ে বেশি পরিমাণ কাজের জন্য উপকৃত হন গ্রামবাসীরা. এ ভাবেই হাতে কলমে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা উদ্ভাবনগুলিকে সাদরে গ্রহণ করা হয়.





কর্মশালায় বিশিষ্টরা

তবে এই উদ্ভাবনী শক্তিকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে তার নিয়মকানুন জানাও জরুরী. সে কারণে ছাত্রছাত্রীদের সেই সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য একতার তরফে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল. সঙ্গে ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংস্থা টাইফ্যাক. সেখানে উপস্থিত ছিলেন টাইফ্যাকের এক কর্তা যশবন্ত দেব পানওয়ার. আইপিআর-এর পর্যালোচনা নিয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন. পেটেন্ট সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন সুদীপ্তা ব্যানার্জী, সঞ্চিতা গাঙ্গুলি, মহুয়া হোম চৌধুরী, সন্তোষ কে সামন্তরায়, ধনপত রাম আগরওয়াল.
 মঞ্চে একতার অধিকর্তা অধ্যাপক ড. সুখেন্দু সমাজদার 

একতার অধিকর্তা অধ্যাপক ড. সুখেন্দু সমাজদার জানান, ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে বিভিন্ন বিষয়ে পেটেন্ট তৈরিতে মনোনিবেশ করুক. কিন্তু তার জন্য সুস্পষ্ট ধারনা ও নির্দেশিকা জানা প্রয়োজন. তাই এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল. আগামী দিনে এ রকম আরও কর্মশালা করা হবে. একতা ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির প্রধান উদ্দেশ্যই হল ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে সমাজের কাজে পৌঁছে দেওয়া. তার ফলে ছাত্রছাত্রীদের কাজকর্ম য়েমন স্মরণীয় হয়ে থাকবে তেমনই সমাজের প্রত্যেকে উপকডত হবে. মাননীয় উপাচার্য ড. সৈকত মৈত্র যেমন ভাবে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে চান সে ভাবেই একতা কাজ করছে বলে জানান ড. সমাজদার. উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শংসাপত্র দেওয়া হয়.

ঘরে বসেই অংশ নাও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়

  অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, ২০২৩     ব্যবস্থাপনায় : ম্যাকাউট আউটরিচ বিভাগ      মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা...