বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আইটির নানা বিষয় নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে।

আইটি-র বিশেষ বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য জয়েন্টে ভাল ফল করার পরেও বিটেক না করে মাকাউটের বিএসসি কোর্স শুরু করেছে বহু পড়ুয়া।

চাকরির কথা মাথায় রেখে এবং বিশেষ বিষয়ে পড়ুয়াদের পারদর্শী করতে ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) ইন-হাউস কোর্সকে ঢেলে সাজিয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগ। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ইনফরমেশন সিকিউরিটি, ব্লক চেন, ডাটা সায়েন্স সহ বিভিন্ন কোর্সকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। সমস্ত দিকে ভাসা ভাসা জ্ঞান না দিয়ে বিশেষ কিছু দিকের একদম গভীরে যাওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। এই সমস্ত কোর্স গুলিতে পড়ুয়াদের বাড়তি উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সে কারণে রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত ধরে কোর্সের পাঠ্যসূচি ঠিক করা হয়। এর ফলে চাকরির সুবিধা অনেকটাই বেড়েছে। তাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে এই কোর্স করার ফলে আগামী দিনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভাল ভাবে পরিচয় করে নিতে পারবে রাজ্য সরকার এবং ওই সমস্ত শিল্প গোষ্ঠীগুলো।
আইটির নানা বিষয় নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে। এমনকি এই সুবিধাও থাকছে যে কোনও বছর কোনও পড়ুয়া যদি কোর্স ছেড়ে দিতে চায় তাহলে সেই বছর পর্যন্ত তাকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়ার হবে। অর্থাৎ তিন বছরের কোর্স শেষ করলে তারা পাবে বিএসসি ডিগ্রি। তার আগেই অন্তত এক বছর পরে কোর্স বন্ধ করলে ডিপ্লোমা দেওয়া হবে।

 একই ভাবে স্নাতকোত্তর কোর্স এক বছর করার পরে বন্ধ করলে পাবে পিজি ডিপ্লোমা।এর পাশাপাশি বিদেশি পড়ুয়াদের এই সমস্ত কোর্সের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেও পদক্ষেপ করা হয়েছে।
পঠনপাঠনে বেশি করে ডিজিটালের অন্তর্ভুক্তি করানো হয়েছে। ক্লাসরুমে শিক্ষকেরা এপ্লিকেশন ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি ক্যানভাস ব্যাবহার করছেন। পড়ুয়াদের বেশি করে সমস্যার সমাধানের ওপর জোড় দেওয়া হয়েছে। এপ্লিকেশন এবং হাতে কলমে বেশি করে কিছু করে দেখতে পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যার ফলে এটা বলা যায়, মাকাউটের আইটি-র পড়ুয়ারা অনেকের থেকে বেশি সাবলীল হয়ে উঠছে।

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯






মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ -এ Associate Professor, Assistant Professor  এবং  Professor পদে নিয়োগ। 


অনলাইনে আবেদন করার শেষ সময়সীমা  1 st October, 2019.


বিস্তারিত তথ্যের জন্য www.wbut.ac.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে vacancies কলামে click করুন।



সেপ্টেম্বর মাসেই বেশ কিছু পোস্টে নিয়োগ হচ্ছে। খোঁজ মিলবে সেগুলির। বেশ কিছু পোস্টে Walk-In-Interview এর খবর রয়েছে।  




মানুষ গড়ার কারিগরদের সম্মান জানাতে সম্বর্ধনা দিল বিশ্ববিদ্যালয়   




ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ 

সমাজকে  সেই শিক্ষা যাঁরা দেন তারা হলেন শিক্ষক। এক কথায় বলা যায় মানুষ ও সমাজ তৈরির কারিগর হলেন শিক্ষকেরা। তাঁদের হাতেই তৈরী হয় ভবিষ্যতের দিকপালেরা। তাই সেই প্রণম্য ব্যক্তিদের অবদানকে শিরোধার্য করে রাখে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের অবদানকে কুর্নিশ জানাতে ১২ জন শিক্ষককে বিশেষভাবে সম্বর্ধিত করল মাকাউট। সেই তালিকায় ছিলেন মাকাউটের দুজন অধ্যাপক , মাকাউটের অনুমোদিত কলেজের ৫ জন অধ্যাপক এবং স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রাম হয়েছে এ রকম ৫ টি স্কুলের ৫ জন শিক্ষককে। তাঁদের নিষ্ঠা এবং পড়ুয়াদের প্রতি বিশেষ অবদানেই জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা শুধু মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যম নয়শিক্ষা হল মনুষ্যতে উত্তরণের সিঁড়ি।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এর এই বাণী আজও সকলের মুখে ফেরে।

 অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র, রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী,  উপদেষ্টা শুভব্রত রায়চৌধুরী , ফিন্যান্স অফিসার অত্রি ভৌমিক সহ অনেকে।   

শিক্ষক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের এক ঝলক। ..............











হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। এঁদের হাত ধরে আগামী সমাজ যেন আরো দূরে এগিয়ে যেতে পারে সেই আশাই রাখছে গোটা মাকাউট পরিবার।  


 
শ্রেণীকক্ষ 



হবু বিজ্ঞানীদের সাধনা ক্ষেত্রের উদ্বোধন 


গবেষণাগার উদ্বোধনের আগে 

কথায় প্রচলিত রয়েছে গবেষনাগার আসলে বিজ্ঞানীদের নিজের ভালবাসার ঘর এবং সাধনা ক্ষেত্র।
যেখান থেকে পূরনো কত জিনিসের সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন নতুন দিকের উন্মোচন করেন তাঁরা।বিজ্ঞানীদের কাছে এই গবেষণাগার আসলে সাধনা ক্ষেত্র। সে কারনে যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত উন্নত গবেষণাগার থাকে সেখানে পড়ুয়ারা ততটাই নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পায় এবং ভবিষ্যৎ জীবনে নতুন কিছু আবিষ্কারের দিকে অগ্রসর হয় । এ রাজ্যের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ে নতুন কিছু করে দেখানোর কাজে উৎসাহ দিয়ে এসেছে। তাই হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে উন্নত গবেষণাগার তৈরী করা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সব থেকে প্রধান কাজ। সে কথা মাথায় রেখেই  সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই হবু বিজ্ঞানীদের কাছে তাঁদের সাধনা ক্ষেত্র তুলে দিলেন কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি গবেষণাগারের উদ্বোধন করলেন মাকাউটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র সহ বিশিষ্ট জনেরা।এ রাজ্যে প্রযুক্তি প্রেমী পড়ুয়ারা তাদের ভাবনা থেকে তৈরী হওয়া নতুন কোনও দিকের প্রতি সমাজকে চালিত করবেন।

৩ সেপ্টেম্বর যে সমস্ত ল্যাবগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলি হল থ্রিডি প্রিন্টিং ল্যাব, রসায়নের ল্যাব, পদার্থবিদ্যার ল্যাব, নতুন প্রযুক্তির ল্যাব, নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত নানা জিনিস সৃষ্টি এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন কোনো পদক্ষেপের দিশা দেখানোর জন্য উন্নতমানের গবেষণাগার।শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি থাকছে প্লান্ট বায়োলজি ল্যাব, সাইবার ফরেন্সিকের মত গুরুত্বপূর্ণ ল্যাব।


উদ্বোধনের মুহূর্তে 
 ল্যাবের উদ্বোধন হলেও পৃথিবীতে জল জল সঙ্কট তৈরী হওয়ার যে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে সেখান থেকে সকলকে বাঁচাতে এবং পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে বৃষ্টির জল ধরে রাখা এবং ভূগর্ভস্থ জলকে সুরক্ষিত রাখতে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র।




 সময় এবং প্রগতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে দ্রুততার সঙ্গে পাল্ল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে গোটা মানব জীবনকে। চলমানতাই জীবন, থেমে যাওয়াই মরণ। তাই নতুন গবেষণাগার তৈরী করে নতুন কিছু করে দেখানোর কাজে ব্রতী হতে পড়ুয়াদের সব সময় সহায়তা করবে মাকাউট। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজ অর্থ্যাৎ উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করল মাকাউট।


উপাচার্য সৈকত মৈত্র 

আগামী দিনে এই রাজ্যের পড়ুয়ারা গোটা বিশ্বে তাদের অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেই আশা উপাচার্য সৈকত মৈত্রের। তাই শুধু গবেষনাগার তৈরিই নয়, পড়ুয়াদের গবেষণার সব রকমের সাহায্য করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উপাচার্য এবং মাকাউটের সমস্ত অধ্যাপক ও কর্মচারী।









































নমস্কার 

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

চলে গেলাম গঙ্গার অন্য এক কূল,
গন্তব্য উলুবেড়িয়ার নোনা হাই স্কুল


জায়গাটা কলকাতা থেকে বেশ দূরে। দক্ষিন ২৪ পরগনা থেকে বিচ্ছেদ হয়েছে শুধু গঙ্গার কারণে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নয় উলুবেড়িয়ার নোনা হাই স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর  অধিকাংশ পড়ুয়া। কিন্তু প্রযুক্তির নানা কোর্সের সম্ভার দেখে অনেকেই বেশ আগ্রহ প্রকাশ করল। পরিচয় ঘটল মাকাউটের সঙ্গেও। সব থেকে বড় কথা উপভোগ করল স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রাম কর্মশালা। গত অগস্ট মাসে ওই স্কুলে হওয়া এক কর্মশালায় প্রযুক্তির নানা খুঁটিনাটি শুনে নিল পড়ুয়ারা। প্রযুক্তির কোর্সকে তারা আগামী জীবনের পাথেয় করবে কিনা সেটা সময় বলে দেবে। কিন্তু হাতে মোবাইল, ঘরে টেলিভিশন এর মত আমাদের জীবনে সর্বত্র যুক্ত এবং ছড়িয়ে থাকা প্রযুক্তির অন্দরমহলের সঙ্গে পরিচিতি ঘটল তাদের।


উলুবেড়িয়া গরুহাটার কাছে এই নোনা হাই স্কুল। ওই দিনের কর্মশালায় হাজির ছিল বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের পড়ুয়ারা। তাদের সব থেকে বেশি মন কেড়েছে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট এর মত কোর্স। হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থেকে রোগিণীর পরিবার ও চিকিৎসকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে চায় তারা। এমনিতেই উলুবেড়িয়াতে রয়েছে বহু বেসরকারি হাসপাতাল। রয়েছে সরকারি মহকুমা হাসপাতালও। এই কোর্স করে সেখানেই ঝাঁপাতে চাইছে পড়ুয়ারা। একই ভাবে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই পড়াশুনার খরচের তালিকা। যেটা তাদের অধিকাংশ সাধ্যের মধ্যেই বলে জানিয়েছে।


রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস এবং আইটি নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ফরেন্সিকের মতো নানা কোর্স।


উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র 

তবে অনেকের মনেই চাকরির সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। এ প্রসঙ্গে মাকাউটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র জানিয়েছেন, যে প্লেসমেন্ট পোর্টাল রয়েছে সেখানে সরাসরি পড়ুয়াদের বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া থাকবে। যেখান থেকে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে।


ড. শুভব্রত রায়চৌধুরী 
স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামের আহ্বায়ক তথা মাকাউটের পরামর্শদাতা ড. শুভব্রত রায়চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে আমাদের সকলের প্রযুক্তি নির্ভরতা আরও বাড়তে চলেছে। তাই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা এবং  সমাজের জন্য কিছু করে দেখানোর সুযোগ অনেকটাই বাড়বে। পড়ুয়ারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। কেরিয়ার গড়ার ক্ষেত্রেও অনেকটা ধাপ এগিয়ে যাবে আজকের পড়ুয়া ও আগামী দিনের প্রযুক্তির দিশা দেখানোর কান্ডারীরা।


যোগাযোগ - ড.শুভব্রত রায়চৌধুরী, ফোন --৭০৪৪৬৩৫৩৭৩

সুপ্রিয় তরফদার ফোন- ৮০১৭৬৬৯৩৫৯




উলুবেড়িয়া নোনা হাইস্কুলের পর রাজ্যের আবার অন্য কোনও স্কুলে হাজির হবে স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামের বিশেষ দল।

ব্লগ লেখক ....

সুপ্রিয় তরফদার

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯



স্কুল কানেক্ট ও ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম


জীবনের অট্টালিকা প্রস্তুত হয়। স্কুল নামক ভিদের ওপর দাঁড়িয়ে। দেশের সমস্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই। সেই ছাত্রছাত্রীদের উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আজকের সামান্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে অসামান্য প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে স্কুল কানেক্ট এবং স্কুল ইন্ডাকশন প্রোগ্রাম। এবার তাদের জন্য এই প্রোগ্রাম নিয়ে কলম ধরলেন মাকাউটের উপদেষ্টা এবং স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামের আহ্বায়ক অধ্যাপক শুভব্রত রায়চৌধুরী।
অধ্যাপক শুভব্রত রায়চৌধুরী 


 বিটেক এবং প্রযুক্তিগত বিএসসি স্নাতক স্তরের কোর্স। স্কুলের গন্ডি পার করে তারপরে এই স্তরে আসতে হয়। তার জন্য আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। প্রযুক্তি কোর্সের সম্পর্কে ভাল লাগা এবং ভালবাসার সম্পর্ক তৈরী করতে হবে. সে কারনে এ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। মাকাউটের মাননীয় উপাচার্যের পরামর্শে স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামে নতুন নতুন পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে পড়ুয়ারা।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীরা 


যেমন, ধরা যাক রোবোটিক্স নিয়ে একদল পড়ুয়ার মধ্যে বক্তব্যের প্রতিযোগিতা হল।  কেউ আবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বলতে চায়. সেই সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। প্রতিযোগিতার শেষে প্রথম তিন স্থানাধিকারীকে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি দেওয়া হবে শংসাপত্রও। রাজ্যের যে কোনো স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে ওই প্রতিনিধি দল। একেবারে বিনামূল্যে কেরিয়ার কাউন্সেলিং এর সুযোগ পাচ্ছে পড়ুয়ারা।

ভবিষ্যৎকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে প্রতি মুহূর্তে প্রযুক্তির আরও উন্নতির প্রয়োজন। সেই কাজে যুক্ত হতে হবে এই তরুণ সমাজকে। চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা, ব্যবসা থেকে শুরু করে চাকরি সর্বত্রই প্রযুক্তির প্রয়োজন। দুনিয়া যত বেশি করে পরিবর্তিত হচ্ছে ততই চাহিদা বাড়ছে প্রত্যেকের। সেই তাগিদে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রযুক্তি ছাড়া কার্যত আমরা অচল। তাই ছাত্রছাত্রীদের সেই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে এই উদ্যোগ। 





বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯


ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপ্লোমা কোর্স  করে চাকরির সুলুক সন্ধান,

মাকাউট হাত ধরল ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ মার্কেটিং কলেজের

   

সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপ্লোমা কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার (কলকাতা) মাননীয় ব্রুশ বাকনেল। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাকাউট)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভারতের জন্য কেমব্রিজ মার্কেটিং কলেজের প্রতিনিধি অধ্যাপক নন্দন সেনগুপ্ত, মাকাউটের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অধ্যাপক এবং শিক্ষা কর্মীরা। 

বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য 
  ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টরা জানান ইংল্যান্ডের এই কলেজ ভারতে এই প্রথম কোনো মার্কেটিং এর কোর্স চালু করছেন। এবং সেটাও কলকাতায়। অধ্যাপক নন্দন সেনগুপ্ত জানান তিনি আশা করছেন কলকাতায় এই কোর্সের জনপ্রিয়তা হবে এবং পড়ুয়াদের নিজেদের কেরিয়ারের পথ সুগম করতে সাহায্য করবে। 



উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান,  অর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য বহু প্রথাগত চাকরি বিলুপ্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে হচ্ছে ঠিক তার উল্টো।  তিনি জানান, প্রায় ৮ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরী হয়েছে।  কিন্তু সেই তুলনায় কর্মীর যোগান অনেক কম।  সেই কারণেই এই রাস্তায় কেরিয়ার তৈরির সুযোগ অনেক বেশি।  এই কোর্স করে সকলেই নিজেদের যোগ্যতা তৈরী করে নিতে পারেন। 

তিনি আরও জানান, বেকার সমস্যা মেটাতেও এক বছরের এই কোর্স ইতিবাচক ভূমিকা নেবে। এখানে কিছু মহিলারা নানা কাজে বাইরে বের হতে পারেন না।  তাঁরা এই সমস্ত কোর্স করে নিজে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এর ফলে একদিকে যেমন মহিলারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন পাশাপাশি নিজেদের কেরিয়ারের পথটিও সুগম হবে। 

উপাচার্য এবং হাই-কমিশনার  এবং অন্যান্যরা 

রেজিস্ট্রারের সঙ্গে অধ্যাপক নন্দন সেনগুপ্ত  এবং অন্যান্যরা  
 উপাচার্য আশ্বাস দেন , মাকাউট এর সঙ্গে কেমব্রিজ মার্কেটিং কলেজের এই যোগ এই কোর্স করা পড়ুয়াদের বাড়তি দিশা দেখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের  নিজেদেরকে চাকরি যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতেও মাকাউট সজাগ থাকবে। ভবিষ্যতের চলার পথে সঙ্গে থাকবে মাকাউট। ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার (কলকাতা) মাননীয় ব্রুশ বাকনেলও এই কোর্স নিয়ে আশাবাদী। 



ঘরে বসেই অংশ নাও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়

  অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, ২০২৩     ব্যবস্থাপনায় : ম্যাকাউট আউটরিচ বিভাগ      মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা...