বিশ্ব-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে
ম্যাকাউটের
অধ্যাপক
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিভিন্ন শাখায় বিশ্বের সর্বাধিক প্রশংসিত বিজ্ঞানীদের সেরা দুই শতাংশের উল্লেখ করা হয়েছে। ড.জন আইওনিডিসের নেতৃত্বে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি হয়েছে এই বৃহৎ ডেটাবেস। বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্র মিলিয়ে বিশ্বের সেরা প্রকাশিত ও স্বীকৃত গবেষণাপত্রের নিরিখে তৈরি হয়েছে স্ট্যানফোর্ডের তালিকা। গবেষণাপত্র যে-জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, তার মান, গবেষণার মান এবং ক’বার সেই গবেষণাপত্রের ‘সাইটেশন’ হয়েছে, তা দেখেই সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীকে স্থান দেওয়া হয়েছে সেরার তালিকায়। সম্পূর্ণ তালিকায় প্রায় ১,৫৯,৬৮৩ জন ব্যক্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ভারতীয় বিজ্ঞানী রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। আর সব থেকে খুশির খবর সেই তালিকাতেই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) স্কুল অব কম্পিউটেশনাল সায়েন্সের ডিরেক্টর তথা কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক দেবাশিস দে।
অধ্যাপক দেবাশিস দে
এছাড়াও
তিনি অস্ট্রেলিয়ার 'দ্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া'-র অ্যাডজাঙ্কট রিসার্চ
ফেলো। তিনি
আইইইই-র সিনিয়র সদস্য।
সিএসআইর আজীবন সদস্য হওয়ার পাশাপাশি অধ্যাপক দে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন
অফ রেডিও সায়েন্স-এর সদস্য। পাশাপাশি
তিনি ম্যাকাউটের সেন্টার অব মোবাইল
ক্লাউড কম্পিউটিংকে উন্নীত করেছেন।
অধ্যাপক
দেবাশিস দে ২০০২ সালে
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.টেক অর্জন
করেন এবং ২০০৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি
করেন (ইঞ্জিনিয়ারিং)। ইউকে-র
স্কটল্যান্ডে হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার জন্য ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ
তাঁকে ভীষণ মর্যাদাপূর্ণ 'বয়েজ কাস্ট ফেলোশিপ' প্রদান করে। তিনি
'দ্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া'-তে কাজ করার
জন্য ২০০৮-২০০৯ সালে ডিইএসটি অস্ট্রেলিয়া দ্বারা 'এন্ডেভর ফেলোশিপ' পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে নয়াদিল্লিতে এবং ২০১১ সালে বেলজিয়ামের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ রেডিও সায়েন্স
থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে 'ইয়ং সায়েন্টিস্ট' পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার গবেষণামূলক কাজের মধ্যে রয়েছে মোবাইল এজ কম্পিউটিং, ড্রোন
টেকনোলজি, ন্যানোসেনসর, এআই ফর ক্লাউড এবং
আইওটি। তিনি ৩০০ টিরও বেশি পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নাল এবং ১০০ টি কনফারেন্স পেপারস
প্রকাশ করেছেন। তিনি সিআরসি, স্প্রিংগার, নোভা, এলসেভিয়ারের ৮টি গবেষণার মনোগ্রাফ, ১২ টি বই,
এবং পিয়ারসনে পাঁচটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন। তাঁর এইচ সূচক ২৮ এবং সাইটেশন
৪০০০। তিনি
জার্নাল আইইইই এসিসিইএসএসের একটি সহযোগী সম্পাদক এবং হাইব্রিড কম্পিউটেশনাল ইন্টেলিজেন্সের সম্পাদক।
সান
ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় অবস্থিত, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়টি আবিষ্কার এবং প্রশিক্ষণের
একটি অন্যতম স্থান। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, স্ট্যানফোর্ডের শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রগুলি
গবেষণা , কলা এবং ক্রিড়া সহ সাতটি স্কুল। স্ট্যানফোর্ডের অধ্যাপক, কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা
উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যের
উন্নতি লক্ষ্য়ে কাজ করেন।
ধন্যবাদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন