সর্বসাধারণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে স্যানিটাইজার প্রস্তুত শুরু করল মাকাউট
![]() |
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক (ড.) সৈকত মৈত্র মহাশয় |
![]() |
স্যানিটাইজার প্রস্তুত হচ্ছে হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ল্যাবরেটরিতে |
![]() |
মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের একাংশ |
পশ্চিমবঙ্গের
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধুই শিক্ষা দানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
থাকে না। সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে কোনো বিপর্যয়েই এগিয়ে আসে। এবারেও
তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যখন লড়াই করছে আমজনতা তখন গোটা মাকাউট পরিবারকে নিয়ে সকলের পাশে দাঁড়িয়েছেন
মাকাউটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক (ড.) সৈকত মৈত্র মহাশয়।
![]() |
ওই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করছেন উপাচার্য , রেজিস্ট্রার ফিন্যান্স অফিসার সহ অনেকে |
উপাচার্য মহাশয় বিষয় স্বাস্থ্য সংস্থা (হু )-র প্রস্তাবিত স্যানিটাইজার নিজের ফর্মুলায় তৈরী করেছেন।
মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে জরুরি ভিত্তিতে তৈরী হচ্ছে সেই স্যানিটাইজার। প্রাথমিকভাবে মাকাউটের কর্মীদের
সেটি দেওয়া হচ্ছে। এরপরে বিনামূল্যে সর্ব সাধারনের
জন্য সেগুলি দেওয়া হবে। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন,
"মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে জরুরী ভিত্তিতে এই বিশেষ স্যানিটাইজার
প্রস্তুত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেন সেটা সব সময় হাতের
কাছে পান সেই চেষ্টা আমরা করছি। বিনামূল্যে এই স্যানিটাইজার দেওয়া
হবে।" ইতিমধ্যে কর্মীদের মাস্ক দিয়েছে মাকাউট। পাশাপাশি চলছে সচেতনতার প্রচার ।
এর
পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সতর্কতার জন্য কোনও ভাবেই পড়াশুনায় যেন ঘাটতি না পড়ে তার জন্য
চার
দফা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে মাকাউট। পড়ুয়ারা যেন নিজেদের ঘরে বসেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রথমত,
প্রতিদিনই একটি সময়ের নির্ঘন্ট তৈরী করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন সময় কোন বিষয় পড়ানো হবে সেটা পড়ুয়াদের জানানো হয়েছে। ওই নির্ধারিত সময়ে
পড়ুয়ারা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা মোবাইলের মাধ্যমে
লগইন করে থাকবেন। অন্য্ দিক থেকে শিক্ষকেরাও নিজেদের ডিভাইস থেকে অনলাইনে পড়ুয়াদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। তারপর অনলাইনে
চলবে ক্লাস। এমনকি সেখানে
লিখে কিছু বোঝানোর হলেও পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা উভয়েই
তা করতে
পারবেন।
দ্বিতীয়ত,
ইভালুয়েশন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে অনলাইনে। তৃতীয়ত, অনলাইনে যে সমস্ত কোর্স
করানো হয় সেগুলির ক্রেডিট
ট্রান্সফার করার সুব্যবস্থা করেছে মাকাউট। চতুর্থত, তৈরী করা হচ্ছে বিশেষ কোশ্চেন ব্যাংক।
অর্থাৎ মালিটিপল চয়েস প্রশ্ন এর ব্যাংক তৈরী
থাকছে। জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা হতে পারে সেখান থেকেই এবং পুরোটাই অনলাইনে।
\
এভাবেই সমাজের সমস্ত কাজে সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে মাকাউট