স্কুলের সঙ্গে ‘সেতুবন্ধন’ শুরু করল মাকাউট
সেতুবন্ধনে স্কুলের প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক (ড.) সৈকত মৈত্র মহাশয় |
একটি চারা গাছই পরবর্তীকালে সুবিশাল মহীরুহে পরিণত হয়। তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় ছোট্ট থেকেই। একই ভাবে আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে হলে ছাত্রছাত্রীদের ছোট বয়স থেকেই সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে হয়। আর এই মহান কাজই করে থাকেন স্কুলের শিক্ষকেরা। তাই স্কুলের শিক্ষকদের দূরে সরিয়ে রেখে উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত উন্নতি সাধন সম্ভব নয়, এমনটাই মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট) মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক (ড.) সৈকত মৈত্র মহাশয়। সে কারণেই স্কুলের সঙ্গে 'সেতুবন্ধন' করতে উদ্যোগী হয়েছে মাকাউট।
প্রযুক্তির সার্বিক উন্নতিতে মাকাউট কী ভূমিকা গ্রহণ করেছে তার সবিস্তারে বর্ণনা করছেন সহ রেজিস্ট্রার মাননীয় অনুপ মুখোপাধ্যায় |
স্কুলের শিক্ষকদের প্রযুক্তির আগামী ভবিষ্যৎ এবং কী ভাবে এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করে প্রকৃত উন্নতি সাধন সম্ভব সেটা নিয়ে আলোচনার তাগিদেই গত ১৯ ফেব্রূয়ারি মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে সেতুবন্ধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মাকাউট। সেখানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন মাননীয় উপাচার্য সৈকত মৈত্র মহাশয়। উত্তর দেন তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের। সকলের সহযোগিতায় সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে ওঠে সেতুবন্ধন অনুষ্ঠান।
এক স্কুলের শিক্ষিকার হাতে চারা গাছ তুলে দিচ্ছেন অধ্যাপক শিবময় দাসগুপ্ত |
এ দিনের অনুষ্ঠান এর প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিকে আরও কী কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার রূপরেখা তুলে ধরেন মাকাউটের সহ নিবন্ধক অনুপ কুমার মুখোপাধ্যায়। প্রজেক্টারের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন স্কুলের ওই শিক্ষকদের সামনে। এর পরে একে একে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানেরা মঞ্চে আসেন। তাঁরা যেভাবে সমাজের চারা গাছকে লালন পালন করছেন সে কথা মাথায় রেখে একই ভাবে প্রতিটি স্কুলের প্রতিনিধিদের গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়।
মাকাউটের কয়েকজন বিশিষ্ট অধ্যাপক মন্ডলী |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন