চিকিৎসা ব্যবস্থার ভিত গড়তে হবে ডিজিটাল দিয়েই
কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র |
শিক্ষায় ডিজিটালের প্রবেশ ঘটেছে অনেক আগেই. ব্যতিক্রম হয়নি স্বাস্থ্যেও. কিন্তু স্বাস্থ্যে
ডিজিটালের প্রবেশ ঘটলেও সমস্ত ক্ষেত্রে সেই সুবিধা এখনও পাওয়া যায়নি বলেই মত
অনেকের. তাই এ বার সেই দিকে নজর দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাকাউট).
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ডিজিটাল হেল্থ
নামক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়. সেখানেই উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান, ডাক্তারদের সঙ্গে
রোগীর মত আদান প্রদান, রোগীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নতি
ঘটাতে হবে. এমনটাই চাইছেন চিকিৎসকেরাও.
কিন্তু তার যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রশিক্ষিত
কর্মীদের প্রয়োজন. সে কথা মাথায় রেখেই সার্টিফিকেট
ও স্নাতক কোর্স চালু করবে মাকাউট. ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলে্ন শহরের ও ভিন
রাজ্যের এমনকী ভিন দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক, কলেজের পদাধিকারী ও
ছাত্রছাত্রীরা. ভিন দেশ চিকিৎসকেরা অনলাইনে স্কাইপের মাধ্যমে তাঁদের মতামত জানান. কর্মশালায়
উপস্থিত চিকিৎসকেরা্ও জানান, চিকিৎসা পদ্ধতির সর্বস্তরে ডিজিটালের খুব বেশি করে প্রয়োজন
হয়ে পড়েছে. সার্বিক উন্নতি ডিজাটালের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়. সে কারণে দ্রুত এই
বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধও করেন তাঁরা.
উপাচার্য জানান, ই-হেল্থ, এম-হেল্থ বিদেশে বেশ জনপ্রিয়.
আমাদের দেশে এবং রাজ্যেও সেটা ভাল ভাবে চালু করতে হবে. তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও
ইচ্ছা এবং তাগিদ. সে কারণে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া
হল. ওই কর্মশালায় উপস্থিত থাকা কয়েকজন চিকিৎসকও উপাচার্যের পক্ষেই
সওয়াল করেন. সমাজের
সর্বস্তরে এই বিষয়ে সচেতন করতে পারলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই পরিবর্তন হয়ে যাবে
বলে মত তাঁদের. সমাজের সর্বস্তরে এই বিষয়ে
সচেতন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আরও বেশি করে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান
কর্তৃপক্ষ.
এরপর প্রায় দুপুর তিনটে পর্যন্ত বিভিন্ন চিকিৎসকেরা এই বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির জন্য সকলেই
উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাসও দেন. এই খবর প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পত্রিকা, একদিন এবং দ্য
স্টেট্সম্যানেও.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন