পশ্চিমবাংলার
ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্পের বিশ্বায়নে উদ্যোগী মাকাউটের একতা
পর্যালোচনা-শালপাতার তৈরি থালার মানোন্নযন নিয়ে আলোচনায় একতার অধিকর্তা সুখেন্দু সমাজদার সহ প্রস্তুতকারকরা |
শালপাতার
থালা তৈরি হোক বা পাটের তৈরি কারুকার্য করা শিল্প. এ বাংলায় তার জুড়ি মেলা ভার.
কিন্তু এই শিল্পকে শুধু জেলা, রাজ্য বা
দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না. যথার্থ অর্থে এই শিল্পের বিশ্বায়ন প্রয়োজন. যে
কারণে সম্প্রতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট) সল্টলেক ক্যাম্পাসে কেন্দ্রের বাণিজ্য
মন্ত্রকের টাইফ্যাক এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের
সাক্ষাতের ব্যবস্থা করিয়েছিল মাকাউটের একতা ইনকিউবেশন সেন্টার. কী ভাবে
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওই সমস্ত শিল্পকে গোটা বিশ্বের বাজারে হাজির করানো যায়
এটাই ছিল তার মূল লক্ষ্য.
প্রকারভেদ- কত মানের শালপাতা রয়েছে সেটা দিল্লির মন্ত্রকের সদস্যদের বোঝাচ্ছেন অধিকর্তা |
বাঁকুড়া,
বিষ্ণুপুর, কলকাতা, সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষেরা এসেছিলেন তাঁদের শিল্পের নমুনা
নিয়ে. টাইফ্যাকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁরা জানিয়েছেন ঠিক কোন কোন
ক্ষেত্রে কী ভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পের উন্নতি ঘটানো যায়. একতা ও
টাইফ্যাক সম্মিলিত ভাবে সেই সহযোগিতা করবে. ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র শিল্পকে
বেছে নেওয়া হয়েছে যেগুলিকে উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগোতে শুরু করেছে একতা ও
টাইফ্যাক.
অন্যান্য শিল্পদ্যোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন দিল্লির টাইফ্যাকের সদস্যরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈকত মৈত্র প্রথম থেকেই এই সমস্ত
ক্লাস্টারের উন্নতিতে জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন.
একতা-র অধিকর্তা অধ্যাপক ড. সুখেন্দু সমাজদার বলেন, বাংলায় ওই সমস্ত
শিল্পের সঙ্গে বহু দেশই পাল্লা দিতে পারবে না. বিশ্বের দরবারে একবার এগুলিকে হাজির
করাতে পারলে আগামী দিনে পিছন ফিরে দেখতে হবে না. আপাতত সেই লক্ষ্যেই কিছু করে
দেখাতে আমরা বদ্ধপরিকর. এর ফলে যে শুধু বাংলার ব্যবসার উন্নতি হবে সেটা নয়, সেই
মানুষগুলিকে সম্মান জানানো হবে যাঁরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেঁচে থাকতে এই সমস্ত
শিল্পকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন. তাঁদের মুখে হাসি ফোটানো যাবে.
অনুষ্ঠান মঞ্চে অধিকর্তা |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন