৪৩ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (২০১৯) ম্যাকাউট এর স্টলের উদ্বোধনে উপাচার্য সৈকত মৈত্র সঙ্গে অন্য অধ্যাপকেরা
·
২০১৯-এর ৩১ জানুয়ারি
থেকে ১০ ফেব্র্রুয়ারি পর্যন্ত
সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৪৩ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় দিব্যেন্দু পালিত
হলে ৭৯ নম্বর স্টলে হাজির ছিল ম্যাকাউটের পরিবার। এক ধাপ এগিয়ে এই পরিবারে থাকা
বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে আমাদের পরিবারে রয়েছে দেড়
লক্ষের বেশি পড়ুয়া ও ১৯৬-এর বেশি কলেজ। কোর্সের সংখ্যা রয়েছে ১৪০ এর বেশি। আমাদের
প্রধান লক্ষ্যই ছিল এই পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের আরও বেশি করে ভবিষ্যতের দিশা দেখাতে
সাহায্য করা। এছাড়া নতুন প্রজন্মের সামনে উচ্চশিক্ষার এক অভিনব দ্বারোদঘাটনও ছিল
আমাদের উদ্দেশ্য।
আলোচনা-পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় ম্যাকাউট ও কলেজের
প্রতিনিধিরা
·
বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার আগে থেকেই পরবর্তী
উচ্চশিক্ষার জন্য দুশ্চিন্তা চেপে বসে পড়ুয়াদের ওপরে। সেই দুশ্চিন্তার পারদ ক্রমশ
বাড়তেই থাকে। বিশেষ করে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে যে দুশ্চিন্তায়
থাকেন, সেই সময় এই বইমেলায় তাঁদের পথের দিশা দেখাতে “ কেরিয়ার গাইড বুক ” (সিজিবি)
নিয়ে হাজির হয়েছিল ম্যাকাউট।
·
স্নাতক
স্তরের পেশাগত, প্রশিক্ষণমূলক, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সার্টিফিকেট কোর্সের তথ্য বিবরণ
নিয়ে তৈরি হয় এই সিজিবি। প্রতিটি কোর্সের সম্ভাব্য পেশাগত দিক, কোর্সে শিক্ষণীয়
যাবতীয় তথ্য পেয়ে খুশি অভিভাবকেরা। বাঘাযতীনের এক বাসিন্দা অমিতাভ মজুমদার বলেন,
“এই বইটি সত্যিই ভীষণ উপযোগী। উচ্চ মাধ্যমিকের পর কোন কোর্স নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়
সেই সিদ্ধান্ত নিতে এই বইটি বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করবে।”
Ø তবে শুধু বই দিয়েই কাজ
সেরে ফেলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিনিধিরা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সমস্ত
প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাঁদের উচ্চশিক্ষার পথ বেছে নিতে সাহায্য করেছেন। এই বইমেলায়
আধিকাংশ অভিভাবকেরা জোর দিয়েছেন কোন কোর্সে চাকরির কত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেই
সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে তাঁদের জানানো হয়। সিজিবি-তে বিস্তারিত ভাবে তার
উল্লেখও রয়েছে। এছাড়া এমন বহু কোর্স রয়েছে যেগুলি পরবর্তী সময়ে ব্যবসার দরজা
উন্মুক্ত করে। অভিভাবকেরা সেই সমস্ত কোর্স সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেন।
v ভিন রাজ্যে নয়, এ রাজ্যেই রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, পেশাগত, প্রশিক্ষণমূলক ও সার্টিফিকেট কোর্সের
আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
§ ব্রেন ড্রেন নামক শব্দটি
লোক মুখে বেশ প্রচলিত। মেধা যেন রাজ্যের বাইরে না চলে যায় তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে
রাজ্য সরকার। সেই কাজে সদা সতর্ক ম্যাকাউট। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
(ইউজিসি) এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-র অধিকাংশ
কোর্স এ রাজ্যের প্রায় দুশোটি কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এই
বইমেলায় পৃথক ভাবে সেই সমস্ত কোর্সের
উল্লেখ করে পডুয়া ও অভিভাবকদের সচেতন করা হয়েছে। অনেক কম খরচে নিজেকে স্নাতক পাশ
করে নিজেকে কীভাবে উপযুক্ত করে তুলতে হয় সেই বিষয়ে বিশদে জানানো হয়েছে তাঁদের। বই
প্রেমীরা বই কেনার ফাঁকে জেনে গিয়েছেন উচ্চ শিক্ষার রূপরেখাও।
v পডুয়া ও অভিভাবকদের প্রশ্নমালা ও পরামর্শ-
· কোন কোর্সে চাকরির
সম্ভাবনা বেশি?
· কোন কোন কোর্সে পিএইচডি
করা যায়?
· সিজিবি অনলাইনে হলে ভাল
হয়।
· হস্টেলের সুযোগ সুবিধা
কেমন?
v পথ পাঠাগারের জন্য বই দান করেছেন বই প্রেমীরা
বই দান করছেন বই প্রেমীরা
Ø
বই
এর গন্ধ ও পৃষ্ঠার স্পর্শ সুখে এখনও থমকে যায় বহু মানুষের মন। তাই মোবাইল ও
ইন্টারনেটের যুগেও ভিড় উপচে পড়ে। বই পড়ার প্রয়োজন ও ভালবাসার তাগিদে রাজ্যের
বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রীট লাইব্রেরী বা পথ পাঠাগার তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ম্যাকাউট। বই
মেলার স্টলে এই বিষয়ে প্রচার চালানো হয়। সেখানে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোন করে
বই দানের কথা জানালে তাঁদের বাড়ি থেকে ম্যাকাউটের প্রতিনিধিরা বই নিয়ে আসবেন। কিছু
বইপ্রেমীরা বইমেলার ওই স্টলেই বই দেন। শতাধিক বই জমা পড়ে ওই স্টলেই। এক বইদানকারী বলেন
, “আমার প্রিয় বইগুলি বিশ্বাবিদ্যালয়কে দিলাম। আশা করি সকলে উপকৃত হবেন।”
আবার দেখা হবে অন্য কোনও
মেলায়, অন্য ভাবে...............
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন