বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯


পড়াশুনা পরে, আগে ভাল ভাবে জানতে হবে প্রযুক্তিকে


রামমোহন মিশন হাইস্কুলে প্রযুক্তির কোর্সের কর্মশালা



প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে 


মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাস 

পড়ুয়াদের মুখোমখি মাকাউট  এর প্রতিনিধি 
হিন্দি সিনেমার থ্রি- ইডিয়টস সিনেমায় পরিচালক কেন্দ্রীয় চরিত্রের মাধ্যমে বারবার দেখিয়েছিলেন জ্ঞান যেখান থেকে পাওয়া যায় সেখান থেকেই তা সংগ্ৰহ করতে হয়. কলকাতার রামমোহন মিশন হয় স্কুলে গিয়েও যেন দেখা গেল তারই প্ৰতিচ্ছবি এমনকি কর্মশালার শুরুতে পরিচয় পর্বে স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস পড়ুয়াদের স্মরণ করলেন সেই কথা. তারপরেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা মাকাউটের প্রতিনিধিরা শুরু করলেন কর্মশালা একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দের সঙ্গে সেই কর্মশালাটি পরিচালনার শেষে পড়ুয়ারা একসঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠল, "গোটা কর্মশালায় একটুও বোর হলাম না. খুব আনন্দ পেলাম

 
রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস ও মাকাউটের প্রতিনিধি 
গত ১৩ অগস্ট কলকাতার লেক গার্ডেন্সের রামমোহন মিশন হাইস্কুলে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছিল ভাল করে বুঝে নেয় মাকাউট কি. কিভাবে সেখানে ভর্তি হওয়া যায়. রাজ্যে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করার জন্য কতগুলি কলেজ রয়েছে সেগুলির অবস্থান কোথায় কোথায় তার সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোন কোর্সে ভবিষ্যতে কী পথ রয়েছে পড়ুয়ারা উৎসাহের সঙ্গেই সেই সম্পর্কে সমস্তটা বুঝে নেয়. মাকাউটের লিফলেট পেয়ে অনেকেই সেগুলি আগ্রহ ভরে দেখে


ইন্টেরিয়ার  ডিজাইন এর নমুনা  



রামমোহন মিশন হাই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা  
 কিন্তু এটা বলতেই হয় যে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল প্রায় সব কটি উত্তর তারা দিতে পেরেছে. এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার যে বর্তমান সমস্ত কিছুতেই নজর রাখছে ভবিষ্যতের এই প্রজন্ম এই সমস্ত পড়ুয়ারা কে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করবে সেটা একান্তই তাদের বিষয়, কিন্তু সমাজের কাছে যে তারা অপরিহার্য সেটা বোঝা যায় স্বল্প সময়ের এই কর্মশালা থেকেই

ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ইন্টারনেট অব থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এর মত বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কে হালকা হলেও মোটামুটি ধারণা তাদের রয়েছে যেটা দেখে খুশি না হয়ে থাকা যায় না. প্রযুক্তির কোর্সের বিষয়ে এই জানার আগ্রহ থেকেই পরিষ্কার আগামী দিনে এই সমস্ত পড়ুয়ারা সমাজে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নিতে চলেছে





দেশের আগামী দিনের এই প্রজন্মকে দিশা দেখাতে এবং সাহায্যের জন্য মাকাউট সদা প্রস্তুত

ভিডিও গেম সহ প্রযুক্তির নানা কোর্সে  
উৎসাহী কল্যাণীর আইডিয়াল স্কুলের পড়ুয়ারা 



স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামে বক্তব্য রাখছেন মাকাউটের প্রতিনিধি 
ক্লাসরুমের মেঝেতে বসে নবম, দশম  ও একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। প্রযুক্তি সম্পর্কিত নানা কোর্সের ডালি নিয়ে সেখানে যে হাজির হয়েছেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট) স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রামের প্রতিনিধিরা। পাওয়্যার পয়েন্টে যখন একের পর এক স্লাইড পরিবর্তন করা হচ্ছে তখন সেখানে ফুটে উঠছে নানা কোর্সের নাম. কিন্তু গেমিং এবং মোবাইল সম্পর্কিত কোর্স দেখেই বাড়তি উৎসাহ দেখা যায় পড়ুয়াদের মধ্যে। এর পর এক একটি কোর্স সম্পর্কে বিশদে জানার আগ্রহ দেখেই বোঝা যায় তাদের মধ্যে  বাড়তি উদ্দীপনা তৈরী হচ্ছে। 


সকলেই যে প্রযুক্তি কোর্স সম্পর্কে সমান ভাবে অবগত, সেটা মোটেই নয়. কিন্তু প্রতিটি কোর্সের সম্পর্কে বিশদে জেনে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হচ্ছে,  কথায় বলে নিজেকে কোনও বিষয়ে যত বেশি সংযুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে তত বেশি করে মনে প্রশ্ন জাগে সে কারণেই স্কুল কানেক্টের এই প্রোগ্রামের শুরুতে আমরা আশা করি পড়ুয়াদের থেকে যত বেশি প্রশ্ন আসে ততই ভাল. সেই দিক থেকে এই স্কুলের পড়ুয়াদের ব্যবহার বেশ মনে দাগ কেটেছে প্রতিটি কোর্স নিয়ে তো বটেই, কোন কোর্স কত রকমের সম্ভাবনা, কোন কোর্স কি ধরনের স্টাডি মেটেরিয়াল রয়েছে সমস্ত কিছুই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে.



মনযোগী পড়ুয়া











পড়ুয়া তো সরাসরি উঠে প্রশ্ন করে, গেমিং এপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট  নিয়ে পড়াশোনা করলে নতুন করে কোনও গেম তৈরী করা যায় কিনা. ফরেনসিক নিয়ে যে কোনও কোর্স রয়েছে সেটা জেনেও একের পর এক প্রশ্ন করে তারা হরিণঘাটায় এত বিশাল ক্যাম্পাস দেখেও খুশি ওই পড়ুয়ারা জীবনের পরবর্তী লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই কর্মশালা যথেষ্ট কার্যকরী বলে মেনেছেন স্কুক কর্তৃপক্ষও 






শেষে এটা বলাই যায় প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় ওই সমস্ত মেধাকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে রাজ্যকে এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে জন্য যায় সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে মাকাউট    






দেশের ভবিষ্যৎ 


বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

হাতের মুঠোয় বই এর সম্ভার,

হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে  স্ট্রিট লাইব্রেরী

উদ্বোধন করছেন উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র। সঙ্গে রয়েছেন রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী ও অন্যান্যরা।
জুলাই; 'স্ট্রিট'-এর আলোতে বই পড়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কারণ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পড়াশুনা ছাড়া এ বিশ্বকে জানা যায় না। সেই অমোঘ সত্যিকে মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোটা রাজ্য জুড়ে 'স্ট্রিট' লাইব্রেরী তৈরি করার কর্মসূচী নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক অফিসে রয়েছে এই লাইব্রেরী। এ বার হারিণঘাটা ক্যাম্পাসে তৈরি হল স্ট্রিট লাইব্রেরী বা 'পথ পাঠাগার'। উদ্বোধন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র। স্লোগান উঠল একটাই, " বই পড়, বই পড়াও।"


অবসর সময়ের  সাথী 



স্ট্রিট লাইব্রেরীতে উপাচার্য এবং অন্যান্যরা 
বই শুধু জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে তাই নয়, বই হল মানুষের পরম সখা। সুখ দুঃখ সব যেন উজাড় করে দেওয়া যায় বইয়ের মধ্যে। কত মানুষের নানা ওঠা পড়ার কাহিনী, জীবনের কত ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে যন্ত্রের যুগে অনেকেই বই থেকে যেন অনেক দূরে সরে গিয়েছে। কিন্তু বই এর পাতা ওল্টানোর শব্দ, পুরনো বা নতুন বইয়ের যে পৃথক মাতাল করা গন্ধ, ১০০ পাতা বই পড়ে শেষ করার মধ্যে যে তৃপ্তি তা থেকে যেন অনেকেই বঞ্চিত থেকে যাচ্ছি। কার্যত এই সুখ আবার ফিরিয়ে দিতে এবং বই পড়ার অভ্যাস চালু রেখে বিশ্বকে জানার পথ বাতলে দিতে মাকাউটের এই উদ্যোগ।
তোমার খোলা হাওয়া 

স্ট্রিট লাইব্রেরী  উদ্বোধনের কিছু আগে 
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ইংরেজি সাহিত্যের বিকাশ, গোয়েন্দা কাহিনী থেকে শুরু করে অর্থনীতির নানান বইতে সমৃদ্ধ হয়েছে এই স্ট্রিট লাইব্রেরী। কাজের ফাঁকে বা ক্লাসের ফাঁকে এই লাইব্রেরীতে বই পড়ার জন্য রয়েছে উপযুক্ত স্থান। 'থ্রি ইডিয়েটস' নামে হিন্দি সিনেমার পর্দায় পরিচালক দেখিয়েছিলেন, জ্ঞান যেখান থেকে খুশি সংগ্ৰহ করা যায়। বই যে তার উত্তম মাধ্যম এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই জীবনের এই পরম বন্ধুকে কাছে পেয়েও না হারানোর পরামর্শ দেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র।


পছন্দের বই বেছে নেওয়া
বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সকলেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। যেটা তাঁদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই নিয়ম করে বই পড়ার মধ্যে যে তৃপ্তি ও সুখ রয়েছে যেটা এই মানব জীবনকে সার্থক করে।








জ্ঞানের স্তম্ভ 
বইয়ের জগৎ 

লাইব্রেরী উদ্বোধনের পরে 


শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

মহাত্মা গাঁধীর নীতি- আদর্শ  নিজের জীবনের
চলার পথের পাথেয় করার পরামর্শ দিলেন উপাচার্য



মহাত্মা গাঁধীর ছবিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র 

গোটা বছর ধরেই পালিত হচ্ছে জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী। সেই জন্ম সার্ধশতবর্ষকে সামনে রেখে  গত ৩০ জুলাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট ) হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে মহা সমারোহে পালিত হল নানা অনুষ্ঠান। সেখানে এই জাতির জনকের স্মৃতি রোমন্থন তো ছিলই , পাশাপাশি কি ভাবে তাঁর আদর্শগুলোকে নিজের জীবনের চলার পথের পাথেয় করা যায় তা নিয়েই চলল বিস্তর আলোচনা। উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র  জানান, মহাত্মা বলতেন যে কোনও কাজ শুরু করে এবং সেটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে কথা মনে করিয়ে তিনি জানান,  যে কোনো কাজ শুরু করলেই হল না. সেটা যেন ঠিক ভাবে এগিয়ে চলে সেটা দেখতে হবে. 

মহাত্মা ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু 

বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য 
পাশাপাশি নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সৈকত মৈত্র জানান, মহাত্মা গাঁধী বলতেন তুমি তোমার লক্ষ্যে  কোন পথে যাচ্ছি সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের চলার পথ কেমন। ওই মহৎ মানুষের আদর্শকে নিজেদের জীবনের চলার পথের পাথেয় করতে হবে হবে জানান উপাচার্য। 







সংগ্রহশালা উদ্বোধন করছেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র। সঙ্গে রয়েছেন রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী 
এই লক্ষ্যে সকলের মধ্যে মহাত্মা গাঁধীকে জানা এবং তার সমস্ত নীতি আদর্শের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য স্কুল ছাত্র - ছাত্রীদের মধ্যে  একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার কথা বলেন তিনি. একই ভাবে মাকাউটের কর্মীদের মধ্যেও 'গাঁধীআদর্শ' ও 'গাঁধীগিরির' ভাবধারা প্ৰচারের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে মাকাউট। দ্রুত সেটা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হবে বলেও জানান তিনি। শুধু ছবিতে মালা দিয়ে তাঁর আদর্শ পালন সম্ভব নয়, সে জন্য নিজের মন কে সেই ভাবধারা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে বলেন উপাচার্য। 

চরকায় সুতো কাটতে ব্যস্ত মহাত্মা 









এক ফ্রেমে মহাত্মা গাঁধী এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর






এই উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে একটি সংগ্রহশালাও করা হয়েছে। সেটা ঘুরে দেখেন তিনি। এর পরে কুইজ কন্টেস্ট হয়.
মহাত্মা গাঁধীর জীবনের নানা তথ্য থাকার সম্বলিত পুস্তক দেখছেন উপাচার্য। পাশেই রয়েছে সুতো কাটার মেশিনের এক নমুনা।  







অন্তিম যাত্রায় মহাত্মা।  কিন্তু তিনি আজও  জীবিত আমাদের মধ্যে। 








গাছ বসালেই হবে না, করতে হবে পরিচর্যাও : উপাচার্য সৈকত মৈত্র 

পরিবেশ বাঁচাতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে : উপাচার্য 




হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে গাছ বসাছেন উপাচার্য সৈকত মৈত্র  

গত ২৯ জুলাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাকাউট) হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন উৎসব পালন হল. উদ্যোগে বড় জাগুলির মোহন তরী.  সেখানেই মাকাউটের উপাচার্য  অধ্যাপক সৈকত মৈত্র জানান, বছরের একদিন গাছ বসালেই হবে না, সারা বছর বসাতে হবে এবং নিষ্ঠা ভরে তার পরিচর্যাও করতে হবে. তিনি জানান, অতীতে তিনি একটি দল তৈরী করে রাস্তার মোড়ে , রাস্তার পাশে গাছ বসাতেন।  সারা বছর তার পরিচর্যাও করতেন। সব গাছ বাঁচানো না গেলেও সেগুলির মধ্যে বহু গাছকেই তাঁরা বাঁচাতে পারতেন। একই ভাবে গাছ বসানোর পাশাপাশি গাছ পরিচর্যার ওপরে জোর দেন তিনি। 



উপাচার্যকে সম্বর্ধনা দিচ্ছে মোহন তরী 


সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোহন তরীর সদস্য , মাকাউটের রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী, ফিন্যান্স অফিসার অত্রি ভৌমিক,  সহ-রেজিস্ট্রার অনুপ কমার মুখোপাধ্যায়, উপদেষ্টা শুভব্রত রায়চৌধুরী থেকে শুরু করে আরো নানা গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরা। ছিলেন মাকাউটের অন্য্ কর্মচারীরাও। সকলকেই সারা বছর গাছ বসাতে বলেন উপাচার্য।







পাশাপাশি ক্রীড়াকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেন উপাচার্য। তিনি জানান, মোবাইলের ভিডিও গেম খেলে কাজ হবে না, কাদা মাটি মেখে পরিশ্রম করে খেলতে হবে. এতে মনের ও স্বাস্থ্যের বিকাশ হবে. খেলার ক্ষেত্রে মাকাউট আরো বেশি করে সকলকে উৎসাহিত করবে বলে জানান তিনি। 







প্রসঙ্গত, মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের মধ্যেই বড় খেলার মাঠ রয়েছে। ভবিষ্যতে তার আরো উন্নতি করা হবে বলেও পরিকল্পনা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের পরেই  ক্যাম্পাসে গাছ বসানো হয়. সঙ্গে ব্রত নেওয়া হয় পরিবেশ রক্ষার।

দিশা দেখতে স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছেন মাকাউটের প্রতিনিধি 


মাকাউটে এই সমস্ত কোর্স পড়ানো হয় 
স্কুল স্তর থেকেই ভবিষ্যতের দিশা ঠিক করা উচিত। এ রাজ্যেই প্রযুক্তিগত সমস্ত কোর্সের যে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেটা  বোঝাতেই স্কুলে যাচ্ছেন মাকাউটের প্রতিনিধিরা। কলকাতা, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া সহ বিভিন্ন  জেলার স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের মুখোমুখি এই প্রতিনিধি দল. এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা বিভিন্ন বিএসসি কোর্স এবং সে সমস্ত কোর্স নিয়ে ভবিষ্যতে কি ভাবে পথ চলা যায় সেই সম্পর্কে বিশদে আলোচনা চলছে ওই স্কুলগুলিতে। 


কল্যাণীর একটি স্কুলে স্কুল কানেক্স্ট প্রোগ্রাম 
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কম কোর্স ফি. অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। যে কারনে খরচের বোঝা অনেকটাই কমিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। সে কারণেই পৃথকভাবে 'স্কুল কানেক্ট প্রোগ্রাম' নামে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মাকাউট। রাজ্যের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে যাচ্ছে ওই প্রতিনিধি দল. ছাত্রছাত্রী এবং সকলের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তাঁরা।  


শুধু স্কুলে যাওয়ায় নয়,  নদিয়ার হরিণঘাটায় মাকাউটের ক্যাম্পাস প্রদর্শন করার বন্দোবস্ত করছে মাকাউট। এ বছর থেকেই মাকাউট প্রায় ২৭টি বিএসসি কোর্স চালু করেছে। সেই সমস্ত কোর্সে ভর্তি হতে গেলে  সিইটি বা কমন এন্ট্রান্স টেস্ট এর পাশ করতে হয়. কি ভাবে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় এসব থাকছে ওই কর্মসূচিতে। মাকাউট স্কুল বেছে নিয়েও নানা কর্মশালা চালাচ্ছে। তা ছাড়াও যদি কোনো স্কুল মনে করে তাদের স্কুলে এই কর্মশালা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরাও যোগাযোগ করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বরে। 




এ রাজ্যের সম্পদ, এ রাজ্যের মেধা, এই  রাজ্যেই থাক। দিশা দেখাবে  মাকাউট।   

ঘরে বসেই অংশ নাও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়

  অনলাইন লাইভ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, ২০২৩     ব্যবস্থাপনায় : ম্যাকাউট আউটরিচ বিভাগ      মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা...