পড়াশুনা পরে, আগে ভাল ভাবে জানতে হবে প্রযুক্তিকে
রামমোহন মিশন হাইস্কুলে প্রযুক্তির কোর্সের কর্মশালা
|
প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে |
|
মাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাস |
|
পড়ুয়াদের মুখোমখি মাকাউট এর প্রতিনিধি |
হিন্দি সিনেমার থ্রি- ইডিয়টস সিনেমায় পরিচালক কেন্দ্রীয় চরিত্রের মাধ্যমে বারবার দেখিয়েছিলেন জ্ঞান যেখান থেকে পাওয়া যায় সেখান থেকেই তা সংগ্ৰহ করতে হয়. কলকাতার রামমোহন মিশন হয় স্কুলে গিয়েও যেন দেখা গেল তারই প্ৰতিচ্ছবি। এমনকি কর্মশালার শুরুতে পরিচয় পর্বে স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস পড়ুয়াদের স্মরণ করলেন সেই কথা. তারপরেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা মাকাউটের প্রতিনিধিরা শুরু করলেন কর্মশালা। একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দের সঙ্গে সেই কর্মশালাটি পরিচালনার শেষে পড়ুয়ারা একসঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠল, "গোটা কর্মশালায় একটুও বোর হলাম না. খুব আনন্দ পেলাম।"
|
রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস ও মাকাউটের প্রতিনিধি |
গত ১৩ অগস্ট কলকাতার লেক গার্ডেন্সের রামমোহন মিশন হাইস্কুলে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছিল। ভাল করে বুঝে নেয় মাকাউট কি. কিভাবে সেখানে ভর্তি হওয়া যায়. রাজ্যে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করার জন্য কতগুলি কলেজ রয়েছে। সেগুলির অবস্থান কোথায় কোথায়। তার সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোন কোর্সে ভবিষ্যতে কী পথ রয়েছে। পড়ুয়ারা উৎসাহের সঙ্গেই সেই সম্পর্কে সমস্তটা বুঝে নেয়. মাকাউটের লিফলেট পেয়ে অনেকেই সেগুলি আগ্রহ ভরে দেখে।
|
ইন্টেরিয়ার ডিজাইন এর নমুনা |
|
রামমোহন মিশন হাই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা |
কিন্তু এটা বলতেই হয় যে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। প্রায় সব কটি উত্তর তারা দিতে পেরেছে. এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার যে বর্তমান সমস্ত কিছুতেই নজর রাখছে ভবিষ্যতের এই প্রজন্ম। এই সমস্ত পড়ুয়ারা কে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করবে সেটা একান্তই তাদের বিষয়, কিন্তু সমাজের কাছে যে তারা অপরিহার্য সেটা বোঝা যায় স্বল্প সময়ের এই কর্মশালা থেকেই।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ইন্টারনেট অব থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এর মত বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কে হালকা হলেও মোটামুটি ধারণা তাদের রয়েছে। যেটা দেখে খুশি না হয়ে থাকা যায় না. প্রযুক্তির কোর্সের বিষয়ে এই জানার আগ্রহ থেকেই পরিষ্কার আগামী দিনে এই সমস্ত পড়ুয়ারা সমাজে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নিতে চলেছে।
দেশের আগামী দিনের এই প্রজন্মকে দিশা দেখাতে এবং সাহায্যের জন্য মাকাউট সদা প্রস্তুত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন