প্রতিকূলতার বাধা ঠেলে জ্ঞান প্রসারে অগ্রসর ম্যাকাউট
লকডাউন বা করোনার বাধা যেন কোনও ক্ষেত্রেই পড়াশুনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে না পরে সে কথা মাথায় রেখেই ওয়েবিনারের মাধ্যমে জ্ঞানের সম্প্রসারণ শুরু করেছিল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এক মাস পরে যখন পিছনে তাকিয়ে দেখা যাচ্ছে তখন স্পষ্ট বোঝা যায় মাকাউট অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সফল হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে এসেছে এই ডিজিটাল মাধ্যমকে সফল করতে। তাই এটা বলাই যায়, কোভিড-১৯ জ্ঞানের সম্প্রসারণকে দমাতে পারেনি। আর তাই উত্তরোত্তর ওয়েবিনারের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন।
বিগত এক মাস ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের বিশিষ্ট বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ম্যাকাউট। এটাকে বাস্তবে রূপায়িত করেছেন ম্যাকাউটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র মহাশয় এবং অধ্যাপকেরা। তিনি বলেন, "ম্যাকাউটের জন্য গর্বের বিষয় যে এটি সিরিজের আয়োজনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এই ওয়েবিনার বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের এক সঙ্গে নিয়ে এসেছে।' তিনি চান, এই সংস্কৃতিটিকে চালিয়ে নিয়ে যেতে। সে কারণেই একটি চিরস্থায়ী প্রভাব তৈরি করতে এবং উদ্ভাবনী ধারণাগুলিকে আরও পূর্নতা দিতে একটি আলোচনা ফোরাম তৈরি করা হয়েছে।
https://makautwb.ac.in
গত জুন মাসে ম্যাকাউট যে ওয়েবিনার গুলি আয়োজন করেছিল তার এক ঝলক
০৪ জুন, স্ট্রাকচারাল পদার্থগুলিকে আল্ট্রা উচ্চ শক্তি কীভাবে প্রভাবিত করে:
তার বাস্তব ধারণা। এতে ১৪১ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস -২০২০
উদযাপন। এতে অং শগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৯৯ জন।
০৬ জুন, জিও-স্পেস ডেটায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ। এই ওয়েবিনারে ২৮৮
জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
০৭ জুন, অনলাইন পাঠদান। এতে ৬৫৬
জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
০৮ জুন, আইওটি এজ-এর ইন্টেলিজেন্সকে সক্ষম করা। এতে ২২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছিলেন।
০৯ জুন, রোগ চিকিৎসা এবং পরিচালনাতে ন্যানো পার্টিকেলস এবং বায়োমার্কার্স। এটিতে
২৩৯ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
০৯ জুন, স্টেগনোগ্রাফির প্রাথমিক ধারণা: "ডেটার মধ্যে ডেটা লুকিয়ে রাখা"।
এতে ২৪০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১০ জুন, অনলাইন শিক্ষার উপর ফ্যাকাল্টি ডেভলপমেন্ট নিয়ে ওয়েবিনার। এতে ১৯১ জন
অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১১ জুন, প্রকৌশল অনুশীলন, বিজ্ঞান এবং গবেষণার জন্য মেটল্যাব (ওয়েবিনার সিরিয়াস -১) - এতে ৩৩৩ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১১ জুন, ইঞ্জিনিয়ারিং প্র্যাক্টিস, সায়েন্স এবং গবেষণার জন্য এমটি ল্যাব। এই ওয়েবিনারে ৩৩৩ জন অংশ নিয়েছিলেন।
১২ জুন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ--এশিয়া এবং ইউরোপের পরিপ্রেক্ষিত। এতে ৩৮০ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছিলেন।
১৩ জুন, জিও-স্পেশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ। এই আলোচনায় ২৭৩ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৪ জুন, টেলিমেডিসিন সিরিজ -১। এতে ২২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছিলেন।
১৫ জুন, ডিজিটাল যোগাযোগ: শিক্ষা এবং অ্যাপ্লিকেশন। এটিতে ২৬১ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য মেটল্যাব সহ মেশিন এবং ডিপ লার্নিং। (ওয়েবিনার সিরিয়াস -২)। এতে ৩৮৩ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জুন, ই-কনক্লেভ -১ মহিলা উদ্যোক্তা। এতে ৩০৩ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জুন, মানসিক সুস্থতা। এতে ২৪৮ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৭ জুন, ই-কনক্লেভ -২ মহিলা উদ্যোক্তা। এতে ২৫৫ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুন, সেন্সর এবং উন্নত ডেটা অধিগ্রহণ সিস্টেম। এটিতে ২৪১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছিলেন।
২০ জুন, ডেটা মাইনিং এবং অ্যাপ্লিকেশন। এতে ২৪৮ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ২১০ জন।
২২ জুন, আইওটি প্রয়োগের ম্যাটল্যাব এবং শিমুলিন্ক। এতে ৩৬৬ অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
২৩ জুন, লক-ডাউনের মধ্যেও কাজ করা। এটি উপস্থিত ছিল ২১৭ জন অংশগ্রহণকারী।
২৪ জুন, ভারতে প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারI এতে ১৬১ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জুন, ২০২০ এবং তার পরে ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা। এতে অংশ নিয়েছিলেন ৩৩৩ জন অংশগ্রহণকারী।
২৬ জুন, রোবোটিকস টু রুরাল: উদ্ভাবনী শিক্ষা এবং গবেষণা পদ্ধতি। এটিতে ২৯১ অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২৭ জুন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রয়োগ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা। এতে ২৮৬ জন অংশ নিয়েছিলেন।
২৮ জুন, শনাক্তকরন, বিচ্ছিন্ন করন এবং চিকিৎসা: কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণের তিনটি দিক। ৭৫৩ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
২৯ জুন, আঞ্চলিক পর্যটন- পুনরুজ্জীবনের পথ। এই ওয়েবিনারে ২২৩ জন অংশ নিয়েছিলেন।
৩০ জুন, মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে ভারতীয় তথ্য সরবরাহের ভূমিকা। এতে ২০৬ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
শত বাধা সত্ত্বেও ম্যাকাউট জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবেও। সেই চলার পথের সাথী হবে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ।
ধন্যবাদ |
Khub valo,egiye chalar notun disha
উত্তরমুছুনএকদম ঠিক
মুছুনখুব ভালো উদ্যোগ....
উত্তরমুছুনAn eye- opener to many ......
উত্তরমুছুনজ্ঞান অর্জনের পথে যে কোনো কিছুই বাধা নয় makaut সেটা প্রমাণ করছে।
উত্তরমুছুনKhub bhalo udyog......
উত্তরমুছুন