'সাইবার সিকিওরিটি'
পেশাগত জীবনের নিরাপদ মঞ্চ
ব্যবসা বা বাণিজ্যের সঙ্গে সুরক্ষা ও তথ্য গোপনীয়তা নামক দুটি শব্দ ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিল আছে এবং থাকবেও। যে কোনও ব্যবসাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে চাইলে বা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই সাফল্যের চাবিকাঠি এবং কিছু তথ্যের গোপনীয়তা প্রয়োজন। অতীতে যে কোনও বাণিজ্য সংস্থার কয়েকজন মানুষের ওপরে সেই গুরু দায়িত্ব থাকত। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে আমরা যত বেশি করে অগ্রসর হয়েছি ততই প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়েছে। তথ্য বা ডেটা সুরক্ষিত করার জন্যও বেছে নিয়েছি সাইবার দুনিয়াকে। আর এই সাইবার নিৰ্ভরতা বেড়ে যেতেই সেখানেও হানা দিতে শুরু করেছে বেশ কিছু শক্তি। সাইবার বিষয়ে অভিজ্ঞ দুষ্ট শক্তি। সেই অসাধু শক্তির থেকে ব্যবসার সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখাই এখন যে কোনও ব্যবসা বা বাণিজ্যের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট ) শুরু হয়েছে সাইবার সিকিওরিটির স্নাতকের কোর্স .
ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে
বিএসসি
আই টি (সাইবার সিকিওরিটি) কোর্সে ভর্তির জন্য ফর্ম পূরণ
চলছে।
১০+২ সমতুল্য কোনও পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করা পড়ুয়া সিইটি-র মাধ্যমে এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
তিন বছরের কোর্স
(৬
টি সেমেস্টার)
ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে
কোর্স ফি: ১ লক্ষ ৩৩
হাজার ৩৫০ টাকা
বিশদ তথ্য পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
অথবা ফোন করুন
8017669359
ভালোর উল্টোদিকে যেমন খারাপ থাকে তেমনই,
এই অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে রয়েছে নতুন প্রজন্মের বুদ্ধি ও মেধা। আর তাকে কাজে লাগিয়েই
এই অসাধু চক্রের পথকে বন্ধ করার চেষ্টা চলছে সর্বত্র। সেখানেই প্রয়োজন 'সাইবার সিকিওরিটি'
সম্পর্কে দক্ষ তরুণ প্রজন্মকে। যাঁদের হাত ধরে অনায়াসেই রুখে দেওয়া যাবে অশুভ শক্তিকে।
সর্বত্র ব্যবসা বাণিজ্যের সমস্ত তথ্য বাঁচানো সম্ভব হবে।
এই কারণেই সাইবার সিকিওরিটি সম্পর্কে
দক্ষ ব্যক্তিদের নিজেদের জীবনকে সাজিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে। পেশাগত দিক থেকেও এটা সকলের
ক্ষেত্রে বেশ লাভজনক। তথ্যে প্রকাশ, ভারতের এক বাণিজ্য সংস্থা সংগঠন জানিয়েছে, ২০২০
সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ সাইবার সিকিওরিটি সম্পর্কে দক্ষ মানুষের প্রয়োজন পড়বে।
তাঁদের কাছে পেশার একটা বড় সম্ভাবনা শুরু হবে। ওই সংস্থার এক কর্তা জানান, আমাদের দেশ
ভারতবর্ষ যত 'ডিজিটাল ইন্ডিয়ার' দিকে এগিয়ে যাবে ,ততই এই মানুষদের বেশি করে প্রয়োজন
হয়ে পড়বে। তরুণ তরুণীদের কাছে এটা একটি বড়
সুযোগ। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবেন এবং তরুণ তরুণীরাও নিজেদের
জীবনের ইমারতকে মজবুত করতে পারবেন। এই চাহিদায় ভাটা পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের হস্টেলের সুবিধা
এক আন্তর্জাতিক গ্লোবাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা যারা
সাধারণত ট্যাক্স, অডিট এবং নানা বিষয়ে কাজ করে থাকেন তাঁরা তাঁদের সংস্থায় সাইবার সিকিওরিটি
জানা দক্ষ কর্মীদের জন্য আরও পেশা গত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। পদের সংখ্যা বাড়িয়েছে
প্রায় দ্বিগুন। বিভিন্ন সরকারি দফতরেও এই বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিদের বিশেষ প্রয়োজন। তাই,
এটা বলাই যায়, পেশার দিক থেকে 'সাইবার সিকিওরিটি' উজ্জ্বল ভবিষ্যতের এক অন্যতম সুরক্ষিত
মঞ্চ।
যে সমস্ত পদে নিয়োগের সম্ভাবনা
নেটওয়ার্ক সিকিওরিটি ইঞ্জিনিয়ার
সাইবার সিকিওরিটি ম্যানেজার
সিকিওরিটি আর্কিটেক
সাইবার সিকিওরিটি এনালিটিক্স
চিফ ইনফরমেশন সিকিওরিটি
অফিসার
সাইবার সিকিওরিটি ম্যানেজার
অন্যান্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন